সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মরা চেলা নদীতে বালুখেকোদের তান্ডব, হুমকিতে রোপওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি বাস্তবায়ন প্রকল্পের সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালা সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. আব্দুল হকের প্রচারণা শুরু দেশ বদলাতে চাইলে নিজেকে বদলাতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার এক মাসে জব্দ প্রায় ১৫ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন পথে যেতে যেতে : পথচারী সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ শীর্ষে বন্ধ করা হলো সেই গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
চিলাই নদীর দুই ক্লোজার অরক্ষিত

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধে ক্লোজার প্যালাসাইডিংয়ের দাবি কৃষকদের

  • আপলোড সময় : ১৬-০২-২০২৫ ০১:২৬:১৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০২-২০২৫ ০১:২৬:১৩ পূর্বাহ্ন
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধে ক্লোজার প্যালাসাইডিংয়ের দাবি কৃষকদের
মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী :: দোয়ারাবাজার উপজেলার চিলাই নদীর তীরে কার্যত অরক্ষিত থেকে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ক্লোজার। ওই দুই ক্লোজারে প্যালাসাইডিংয়ের কাজ না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নাইন্দা হাওড়ের ফসল রক্ষাবাঁধ। বড় দুটি ক্লোজারে বাঁশের প্যালাসাইডিং কিংবা বালি ভরতি জিও ব্যাগ ফেলা না হলে কার্যত কোন কাজে আসবে না ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই ফসলরক্ষা বাঁধটি। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চিলাই নদীর তীর ঘেঁষা ২১নং পিআইসি নাইকো’র ব্রিজ পয়েন্ট থেকে বেজপাড়া লাল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত ৯৭০ মিটার মাটির কাজ চলমান রয়েছে। বাঁধের মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ধীরগতিতে চলা ওই বাঁধ নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও বড় দুটি ক্লোজার অরক্ষিত রয়েছে গেছে। ওই দুই ক্লোজারে প্যালাসাইডিং করা না হলে কোন কাজে আসবে না ফসল রক্ষা বাঁধটি। দেখাগেছে, উপজেলা সদরের বড়বন গ্রামের চিলাই নদীর তীরে ফারুক মিয়ার বাড়ির নিকট এবং ফুল মিয়ার নিকট বড় দুটি ভাঙন ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এতে ফসলরক্ষা বাঁধটি কার্যত কোন কাজে আসবে না বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা। ক্লোজার দুটি বাঁশ দিয়ে প্যালাসাইডিং এবং জিও ব্যাগ ফেলে বন্ধ করা না হলে বৃষ্টি শুরু হলেই স্রোতের তোড়ে ভেসে যাবে ২১ লাখ টাকার মাটির প্রলেপ। বড়বন গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল আজিজ, ফারুক মিয়া, আক্তার হোসেনসহ আরও অনেকে বলেছেন, চিলাই নদীর তীরঘেঁষা বড় দুই ক্লোজারে প্যালাসাইডিং করে জিও ব্যাগ ফেলা না হলে প্রতি বছরের মতো এবারও ভেঙে গিয়ে বিনষ্ট হবে হাওরের ফসল। পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাবে কয়কটি গ্রাম। এ বাঁধে আমাদের কোন উপকারে আসবে না। কৃষকরা আরও বলেন, আমাদের দাবি উপেক্ষা করে ২১নং পিআইসি’র দুটি ক্লোজারে প্যালাসাইডিং না করে ফসল রক্ষা বাঁধে মাটির প্রলেপ দিয়ে দায়সারা কাজ করলে এর দায়ভার সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট পিআইসি সভাপতি মোরশেদ আলম জানান, ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। কিন্তু ৯৭০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধে বড় দুটি ক্লোজারে প্যালাসাইডিংয়ের কোন বরাদ্দ নেই। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় প্রশাসনসহ পাউবো’র সংশ্লিষ্টদের অবহিত করলেও তাঁরা কোন কর্ণপাত করছেন না। জানতে চাইলে পাউবো’র উপজেলা এসও সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, প্যালাসাইডিংয়ের বরাদ্দ দেওয়া হলে সঠিকভাবে কাজ হয় না। বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে, এলাকাবাসী চাইলে এসি অফিস থেকে বরাদ্দ নিয়ে আসতে পারে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ