চিলাই নদীর দুই ক্লোজার অরক্ষিত
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধে ক্লোজার প্যালাসাইডিংয়ের দাবি কৃষকদের
- আপলোড সময় : ১৬-০২-২০২৫ ০১:২৬:১৩ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৬-০২-২০২৫ ০১:২৬:১৩ পূর্বাহ্ন

মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার চিলাই নদীর তীরে কার্যত অরক্ষিত থেকে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ক্লোজার। ওই দুই ক্লোজারে প্যালাসাইডিংয়ের কাজ না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নাইন্দা হাওড়ের ফসল রক্ষাবাঁধ। বড় দুটি ক্লোজারে বাঁশের প্যালাসাইডিং কিংবা বালি ভরতি জিও ব্যাগ ফেলা না হলে কার্যত কোন কাজে আসবে না ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই ফসলরক্ষা বাঁধটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চিলাই নদীর তীর ঘেঁষা ২১নং পিআইসি নাইকো’র ব্রিজ পয়েন্ট থেকে বেজপাড়া লাল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত ৯৭০ মিটার মাটির কাজ চলমান রয়েছে। বাঁধের মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ধীরগতিতে চলা ওই বাঁধ নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও বড় দুটি ক্লোজার অরক্ষিত রয়েছে গেছে। ওই দুই ক্লোজারে প্যালাসাইডিং করা না হলে কোন কাজে আসবে না ফসল রক্ষা বাঁধটি।
দেখাগেছে, উপজেলা সদরের বড়বন গ্রামের চিলাই নদীর তীরে ফারুক মিয়ার বাড়ির নিকট এবং ফুল মিয়ার নিকট বড় দুটি ভাঙন ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এতে ফসলরক্ষা বাঁধটি কার্যত কোন কাজে আসবে না বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা। ক্লোজার দুটি বাঁশ দিয়ে প্যালাসাইডিং এবং জিও ব্যাগ ফেলে বন্ধ করা না হলে বৃষ্টি শুরু হলেই স্রোতের তোড়ে ভেসে যাবে ২১ লাখ টাকার মাটির প্রলেপ।
বড়বন গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল আজিজ, ফারুক মিয়া, আক্তার হোসেনসহ আরও অনেকে বলেছেন, চিলাই নদীর তীরঘেঁষা বড় দুই ক্লোজারে প্যালাসাইডিং করে জিও ব্যাগ ফেলা না হলে প্রতি বছরের মতো এবারও ভেঙে গিয়ে বিনষ্ট হবে হাওরের ফসল। পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাবে কয়কটি গ্রাম। এ বাঁধে আমাদের কোন উপকারে আসবে না।
কৃষকরা আরও বলেন, আমাদের দাবি উপেক্ষা করে ২১নং পিআইসি’র দুটি ক্লোজারে প্যালাসাইডিং না করে ফসল রক্ষা বাঁধে মাটির প্রলেপ দিয়ে দায়সারা কাজ করলে এর দায়ভার সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট পিআইসি সভাপতি মোরশেদ আলম জানান, ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। কিন্তু ৯৭০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধে বড় দুটি ক্লোজারে প্যালাসাইডিংয়ের কোন বরাদ্দ নেই। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় প্রশাসনসহ পাউবো’র সংশ্লিষ্টদের অবহিত করলেও তাঁরা কোন কর্ণপাত করছেন না।
জানতে চাইলে পাউবো’র উপজেলা এসও সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, প্যালাসাইডিংয়ের বরাদ্দ দেওয়া হলে সঠিকভাবে কাজ হয় না। বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে, এলাকাবাসী চাইলে এসি অফিস থেকে বরাদ্দ নিয়ে আসতে পারে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ